,

কাশিয়ানীতে অফিসের মধ্যেই কর্মকর্তার বসবাস!

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পৃথ্বীজ কুমার দাস তাঁর কার্যালয়ের একটি কক্ষ দখল করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করছেন। কক্ষটি ওই অফিসের প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তার জন্য বরাদ্দ বলে জানা গেছে। তবে কক্ষটি বিশ্রাম কক্ষ বলে দাবি ওই কর্মকর্তার।

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নিজ অফিসের কক্ষে নিয়মবহির্ভূত অবস্থান করছেন তিনি। কক্ষটি তার দখলে থাকায় অফিসে কক্ষ সংকট দেখা দিয়েছে। প্রভাবশালী ওই কর্মকর্তার ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না তার অধীনস্থ কর্মচারীরা।

সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় দুটি কক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে একটি কক্ষ হচ্ছে হলরুম, অন্যটিতে সংসার পেতেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পৃথ্বীজ কুমার দাস। ওই কক্ষে রয়েছে খাট, চেয়ার- টেবিল, আলনা, ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন ব্যক্তিগত কাজে। ওখানেই করেন খাওয়া-দাওয়া ও রাতযাপন। অথচ প্রতি মাসে বেতনের সাথে পাচ্ছেন সরকারি বাড়ি ভাড়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পৃথ্বীজ কুমার দাসের অনেক ক্ষমতা। তিনি তার ইচ্ছামতো অফিস পরিচালনা করেন। তিনি যোগদান করার পর থেকে অফিসে রামরাজত্ব কায়েম করেছেন। তিনি কারও কোন কথা কর্ণপাত করেন না। তিনি জোর করে অফিসের কক্ষটি দখল করে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে নানাভাবে হয়রানী করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পৃথ্বীজ কুমার দাসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি কক্ষটিতে গেষ্ট রুম দাবি করে বলেন, ‘আমাদের অফিসে কোন নৈশপ্রহরী নেই। নৈশপ্রহরী রাখতেওতো টাকা লাগতো। আমি থাকি সমস্যা কোথায়। আপনি আমাকে এ বিষয় প্রশ্ন করতে পারেন না।’

এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘অফিস কক্ষ আবাসিকভাবে ব্যবহার করার সুযোগ নেই। কোয়ার্টার থাকলে সেখানে থাকতে পারবেন।’

-লিয়াকত হোসেন লিংকন

এই বিভাগের আরও খবর